সর্বশেষ

Saturday, August 27, 2022

Nasim Ahmmed is a digital creator

Nasim Ahmmed is a digital creator

Nasim Ahmmed is a digital creator . He is a very popular digital creator.He himself earns on various sites online and provides training to others.

 He mainly works on upwork, including fiber and other sites.He is a Jago IT owner. Jago IT mainly provides online services. Creates and manages government and private sites. Jago IT is a reputed IT company in Bangladesh.Congratulations to him

Nasim Ahmmed 

Monday, September 20, 2021

নাসিম আহমেদ জয়পুরহাট লাইভ নতুন সম্পাদক হলেন

নাসিম আহমেদ জয়পুরহাট লাইভ নতুন সম্পাদক হলেন

NASIM AHMMED


জনাব নাসিম আহমেদ জয়পুরহাট জেলার জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম এর সম্পাদক হিসাবে নিয়োগ পান ১৯/০৯/২০২১ তারিখে নিয়োগ পান ।

জয়পুরহাট আনন্দ পরিবারে নিবাহী পরিচালক  নাসিম আহমেদ । জয়পুরহাট লাইভ পরিবার থেকে তাকে জানাই শুভেচ্ছা  ও অভিনন্দন ।

https://www.facebook.com/44nasim

Monday, April 6, 2020

১শ হতদরিদ্রদের জন্য ইউএনওকে সহায়তা দিলেন ঢাকাস্থ আক্কেলপুরবাসী

১শ হতদরিদ্রদের জন্য ইউএনওকে সহায়তা দিলেন ঢাকাস্থ আক্কেলপুরবাসী


নাসিম আহমেদ -আক্কেলপুর প্রতিনিধি
জয়পুরহাট আনন্দ পরিবার 
জয়পুরহাটের আক্কেরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হাতে ঢাকাস্থ আক্কেলপুরবাসী ১’শত কর্মহীন পরিবারের জন্য খাদ্য সহায়তা তুলে দিয়েছেন। রোববার দুপুরে আক্কেলপুরস্থ ঢাকায় বসবাসকারী একটি সংগঠন “ঢাকাস্থ আক্কেলপুরবাসী” সারা বিশ্বে চলমান করেনা ভাইরাস কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সকলের সাথে একযোগে নিজেকে সহ অন্যদেরকে জীবন রক্ষার শপথ গ্রহণ করেছেন। সকলের মৃত্যুরোধে সরকারী সিদ্ধান্তনুযায়ী সামাজিক দুরত্ব রক্ষা করে ঘড়ে বসে থেকে কর্মহীন হয়েছেন।
তাদের মধ্যে যেন কোন খাদ্য সংকট সৃষ্টি না হয় তাদের প্রচেষ্টায় যাতে করে কিছু সময় কোন মতে হলেও তারা অতিক্রান্ত করতে পারে সে লক্ষে তাদের সামর্থানুযায়ী ১’শ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা করতে ঢাকায় বসবাস কারী একটি সংগঠন- “ঢাকাস্থ আক্কেলপুরবাসী” ওই সকল পরিবারের খাদ্য নিশ্চয়তা বিধানে ওই সংগঠন পদক্ষেপ গ্রহন করেন। রোবাবর দুপুরে আক্কেলপুর ফিলিং ষ্টেশনের সত্বাধিকারী ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি বীর মুক্তি যোদ্ধা বজলুর রশিদ মন্টু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাকিউল ইসলামের হাতে ১’শ পরিবারের প্রত্যক পরিবারের জন্য ৫ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি আটা, ২কেজি আলু, ১কেজি পিঁয়াজ, ৫০০মিলিঃ তেল ও ১টি সাবান সহ খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়েছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওই সংগঠনের আলআমিন, বিশ্বজিৎ রনি, মাসুদ রানা সহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাকিউল ইসলাম জানান, এ সমস্থ খাদ্য সামগ্রী আমি দৃঢ়তা ও বিচক্ষনতার সাথে কর্মহীন মানুষদের দোর গোড়াই গিয়ে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে তাদের মাঝে এসব খাবার সামগ্রী বিতরণ করব। একই সাথে তিনি এ দুর্যোগ মোকাবেলায় সমাজে সকল বিত্তবানদের এগিয়ে এসে সহায়তা করার জন্য অনুরোধ জানিয়েচেন।

Friday, April 3, 2020

চট্টগ্রামে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত

চট্টগ্রামে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত

করোনাভাইরাস
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি--আমেনা খাতুন 
চট্টগ্রাম নগরের দামপাড়া এলাকার এক বৃদ্ধ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে অবস্থিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগ শনাক্তকরণ পরীক্ষার এই ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে।
আক্রান্ত রোগীকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। রাতেই তাঁর বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে
চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি প্রথম আলোকে বলেন, জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজন ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগ শনাক্তকরণ পরীক্ষার পর লোকটি ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হই আমরা। তাঁকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
সিভিল সার্জন আরও বলেন, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ শুরু করেছি। তিনি কীভাবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তা আমরা বের করার চেষ্টা করছি।
অসুস্থ অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার আক্রান্ত রোগী চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁর নমুনা পরীক্ষা হওয়ার পর করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মেলে।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্র জানায়, ওই রোগীর বয়স ৬৭ বছর। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময় বিদেশফেরত কারওর সংস্পর্শে তিনি এসেছেন কিনা চিকিৎসকেরা জানতে চেয়েছিলেন। রোগী ‘না’ সূচক জবাব দিয়েছিলেন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ রোগীর বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছে। কমিউনিটি ট্রান্সমিশন থেকে লোকটি আক্রান্ত হতে পারেন। কিন্তু চট্টগ্রামের লোকজন এখনো ভয়াবহ ভাইরাসটি সম্পর্কে গুরুত্ব দিচ্ছে না। বাইরে অবাধ বিচরণ করছে। মসজিদেও ভিড় কমছে না। এটাই চিন্তার বিষয়। সবাই সতর্ক না হলে বিপদ থেকে রক্ষা পাবে কীভাবে?
জয়পুরহাটে প্রতিবন্ধী সংগঠনের খেটে খাওয়া দরিদ্রদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

জয়পুরহাটে প্রতিবন্ধী সংগঠনের খেটে খাওয়া দরিদ্রদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ


জয়পুরহাটে প্রতিবন্ধী সংগঠনের খেটে খাওয়া দরিদ্রদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
করোনাভাইরাসের প্রভাবে জয়পুরহাটে কর্মহীন হয়ে পড়া খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষের মাঝে বিভিন্ন ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে লাল সবুজ প্রতিবন্ধী কল্যাণ সংস্থা।  বুধবার দুপুরে মাতৃভূমি অটিজম একাডেমি হল রুমে এ সব খাদ্য সামগ্রী (চাল, আটা,ডাল, আলু, তেল) বিতরণ করা হয়। কর্মহীন দরিদ্র মানুষের মধ্যে এসব সামগ্রী তুলেদেন জয়পুরহাট পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাম কবির। এসময় জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহরিয়ার খান, করোনা যুদ্ধে আমরা সমন্বয়কারী তিতাস মোস্তফা, সাংবাদিক আব্দুল আলীম মন্ডল, লাল সবুজ প্রতিবন্ধী কল্যাণ সংস্থার সভাপতি জাকারিয়া হোসেন শিমুল উপস্থিত ছিলেন। খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে পুলিশ সুপার করোনাভাইরাস ছড়ানোর বিষয়গুলো তুলে ধরে বলেন, ঘরে থাকুন, গণজমায়েত এড়িয়ে চলুন এবং স্বাস্থ্য পরামর্শ মেনে চলুন।

Wednesday, March 25, 2020

বগুড়ায় মোহাম্মদ আলী হাসপাতালকে আইসোলেশন কেন্দ্র ঘোষণা

বগুড়ায় মোহাম্মদ আলী হাসপাতালকে আইসোলেশন কেন্দ্র ঘোষণা

করোনায় অসুস্থতার চিকিৎসার জন্য #বগুড়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট #মোহাম্মদআলী_হাসপাতাল প্রস্তুত #Share

বগুড়ায় মোহাম্মদ আলী হাসপাতালকে আইসোলেশন কেন্দ্র ঘোষণা👍👍👍


বগুড়া জেলা সদরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালকে আইসোলেশন কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে।
ওই হাসপাতালে ভর্তি সকল রোগী মঙ্গলবার সকালে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

বগুড়ার সিভিল সার্জন ডা. গওসুল আজীম চৌধুরী জানান, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রস্তুত হওয়ার জন্য ২৫০ শয্যার বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল খালি করা হয়েছে। সকালে সব রোগী বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আইসোলেশন কেন্দ্র হিসেবে হাসপাতালের প্রতিটি ওয়ার্ড পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারী প্রস্তুত করা হচ্ছে।

মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শফিক আমিন কাজল বলেন, আইসোলেশনের জন্য হাসপাতাল খালি করতে বলা হয়েছে। তাই খালি করেছি। এই হাসপাতালের চিকিৎসক, সেবিকা ও অন্যান্য কর্মচারী মিলে মোট জনবল ৫৬৫। আমরা মোট ১০০টা পিপিই পেয়েছি।

হাসপাতাল ছেড়ে আসা গাবতলী উপজেলার বাসিন্দা এক রোগী আবদুস সামাদ বলেন, ‘সোমবার রাতেই আমাদের হাসপাতাল ছাড়ার জন্য প্রস্তুতি নেবার কথা বলা হয়েছিল। সকালে হাসপাতাল ছেড়ে শজিমেক হাসপাতালে এসেছি।’
করোনা মোকাবেলায় বেতনের অর্ধেক দান করবেন ক্রিকেটাররা

করোনা মোকাবেলায় বেতনের অর্ধেক দান করবেন ক্রিকেটাররা

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। এরমধ্যেই এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে মারা গেছেন মোট ৫ জন। দেশের এ দুঃসময়ে সহযোগীতার হাত বাড়ালেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ১৭ ক্রিকেটারদের সঙ্গে কিছু দিন আগে শেষ হওয়া জিম্বাবুয়ে সিরিজে সুযোগ পাওয়া আরও ১০ ক্রিকেটারসহ মোট ২৭ জন ক্রিকেটার নিজেদের এক মাসের বেতনের অর্ধেক দান করছেন সরকারী তহবিলে।একাধিক ক্রিকেটার এই উদ্যোগের কথা নিশ্চিত করেন। বিসিবির চুক্তিভুক্ত ও গত তিন মাসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা বিভিন্ন গ্রেডের ২৭ ক্রিকেটার মিলে জড়ো করেছেন ২৬ লাখ টাকা। সংকটকালে এই অর্থ তারা পোঁছে দিতে চান করোনাভাইরাস প্রতিরোধের কাজে। ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে নিজেদের এমন উদ্যোগের কথা নিশ্চিত করেন মুশফিকুর রহিমও। সাবেক এই অধিনায়ক বাকি পেশাজীবিদেরও এগিয়ে আসার আহবান জানান, ‘করোনার বিরুদ্ধে জিততে হলে আমাদের এই উদ্যোগ হয়তো যথেষ্ট নয়। কিন্তু যাদের সামর্থ্য আছে সবাই যদি এক সঙ্গে এগিয়ে আসেন’
বিসিবির চুক্তিতে থাকা ১৭ ক্রিকেটার হলেন: তামিম ইকবাল, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ, মুমিনুল হক, নাঈম হাসান, আবু জায়েদ রাহি, ইবাদত হোসেন, মাহমুদউল্লাহ, সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান, আফিফ হোসেন,মোহাম্মদ নাঈম শেখ। 
এছাড়া জিম্বাবুয়ে সিরিজের স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটাররা হলেন, মাশরাফি বিন মর্তুজা, ইয়াসির আলি চৌধুরী, মেহেদী হাসান, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, শফিউল ইসলাম, আল-আমিন হোসেন, হাসান মাহমুদ, রুবেল হোসেন, নাসুম আহমেদ ও সাইফ হাসান। 
গ্রেড অনুযায়ী একেক ক্রিকেটারের বেতন একেকরকম। যেমন ওয়ানডে দলের নতুন অধিনায়ক তামিম ইকবাল আছেন উভয় বলের চুক্তিতে। তার মাসিক বেতন ৬ লাখ টাকা। তিনি তাই দেবেন ৩ লাখ টাকা। এছাড়া লাল, সাদা উভয় বলের চুক্তিতে থাকা মুশফিকুর রহিম বেশি ম্যাচ খেলার ভিত্তিতে পান সর্বোচ্চ ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা বেতন। তিনি দেবেন ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা। 
ওয়ানডে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়া মাশরাফি বিন মর্তুজা বিসিবির নতুন কেন্দ্রিয় চুক্তিতে নেই। কিন্তু সর্বশেষ জিম্বাবুয়ে সিরিজে তিনি ওয়ানডে খেলায় গ্রেড অনুযায়ী তিনি এই মাসে পাবেন ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা বেতন। করোনাভাইরাসের তহবিলে তাই মাশরাফির কাছ থেকে যাবে ২ লাখ ১২ হাজার টাকার মতন। 
এভাবে বেশ মোটা একটা অঙ্কের তহবিল করতে যাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। তবে সরকারের ঠিক কোন কর্তৃপক্ষের কাছে এই টাকা তারা পৌঁছে দেবেন তা এখনো নিশ্চিত হয়নি। 
শ্রমিকেরা আক্রান্ত হলে ভয়াবহ বিপর্যয়

শ্রমিকেরা আক্রান্ত হলে ভয়াবহ বিপর্যয়

যখন প্রায় সারা দুনিয়াতে লকডাউন আর বাইরের যোগাযোগ বন্ধ, তাহলে সব কারখানা খোলা রাখতে হবে কেন? আমরা কি অপেক্ষা করব পোশাকশ্রমিকদের মধ্যে এর সংক্রমণ ঘটা পর্যন্ত? আর তখন কীভাবে সেটি সামাল দেওয়া হবে? এত দিন পর্যন্ত সরকারি প্রতিষ্ঠান বলছিল যে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন ঘটেনি। কিন্তু এখন তো পরিষ্কার, কোনো প্রবাসীর সংস্পর্শে না গিয়েই মারা গেছেন অন্তত একজন। ‘প্রবাসী তত্ত্ব’ এখন অনেকটাই দূরে সরে যাচ্ছে। কোনোভাবে করোনা কোনো শ্রমিকের শরীরে ছড়িয়ে পড়লে সেটি দিনেই হাজার শ্রমিকে পৌঁছে যাবে। বাংলাদেশের পোশাকশ্রমিকেরা এসেছেন বাংলাদেশের প্রতিটা গ্রাম থেকে। সেখানেও ছড়িয়ে যাবে মুহূর্তের মধ্যে।
করোনার ছোবলে বিশ্বের প্রায় সবকিছু অচল হয়ে পড়লেও চালু আছে বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাত। সে সময়ে নতুন অর্ডার আসা ও ডেলিভারির সুযোগ সীমিত। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ১ হাজার ৮৯টি কারখানার ৮৭ কোটি ৩২ লাখ ৩৬ হাজার ৬২২টি অর্ডার বাতিল হয়েছে। যার আর্থিক পরিমাণ ১ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এসব কারখানার মোট শ্রমিকের সংখ্যা ১২ লাখ। সব ধরনের নিরাপত্তার দিক থেকেই সবচেয়ে নাজুক এই শ্রমিকদের জীবন বাঁচানোর প্রশ্নে দেশের সব গার্মেন্টস কারখানা বন্ধের দাবি তুলেছেন শ্রমিকনেতারাসহ অনেকেই।
এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে যদি অনেক দেরি করে ফেলি, তাহলে বরং দীর্ঘ মেয়াদে আমাদের এই পোশাকখাতই অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। করোনা-উত্তর নতুন বাস্তবতায় আমরা কি চাইব একটা অসুস্থ, ধুঁকতে থাকা শ্রমিকশ্রেণি, নাকি সুস্থ-সবল শ্রমিক, যাঁরা শুধু দেশের চাহিদা নয়, করোনার ধাক্কায় বিপর্যস্ত বাকি দুনিয়ার জন্য পোশাকের জোগান দেবেন?
করোনা সংক্রমণের মাত্র কয়েক সপ্তাহের এই বিপদের দিনে যদি আমরা মুনাফার লোভ সংবরণ করতে পারছি না। প্রার্থীদের টাকা নষ্ট হবে বলে এই সংকটময় সময়ে হয়েছে নির্বাচন। এখন এই মুনাফার কথা ভেবে পোশাকশ্রমিকদের ছুটি দিচ্ছি না। দীর্ঘ মেয়াদে লাভের কথাও যদি ভাবি তাহলেও এই মুহূর্তে অন্তত দুই সপ্তাহের জন্য কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার বিকল্প নেই। এ সময় শ্রমিকদের বেতন-ভাতার ব্যবস্থা করা এবং তা সরাসরি শ্রমিকদের কাছে পৌঁছার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে।
এই কঠিন সময়ে এই খাতে বিপর্যয় ঠেকাতে সরকারের প্রণোদনা প্রদানও আবশ্যক। তবে শ্রমিকদের কাছে সরাসরি বেতন-ভাতা পৌঁছে দেওয়ার বন্দোবস্ত আর এই প্রণোদনা প্রদান সমন্বিতভাবে বিবেচনায় নেওয়া বাঞ্ছনীয়। এ সময় ‘কারখানা খুললে দেব, পরে দেব’-জাতীয় কথা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না।
করোনা-উত্তর বিশ্ব নতুন অর্থনৈতিক চিন্তা দাবি করে। সেই সঙ্গে বিশ্বব্যবস্থায় ভারসাম্যের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আসন্ন বলেই মনে হয়। গত শতকের ৭০ ও ৮০-র দশকের নয়া উদারবাদী অর্থনৈতিক নীতি গ্রহণ এবং তার পরবর্তী বিশ্বায়নের প্রত্যক্ষ ফলস্বরূপ ইউরোপের বহু দেশ তাদের ম্যানুফ্যাকচারিং খাত অনেকাংশে ধ্বংস করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও তা অনেকাংশে সত্য। চীনসহ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে ব্যাপক মাত্রায় ম্যানুফ্যাকচারিং স্থানান্তরিত হয়েছে। বাংলাদেশে শিল্পায়নের জোরদার কোনো ভিত্তি না দাঁড়ালেও আমরা ওই ব্যবস্থার অর্থনৈতিক সুবিধা পেয়েছি মূলত তৈরি পোশাক খাত এবং প্রবাসী শ্রমিকদের অবদানের কারণে। মোটাদাগে দেখা যাচ্ছে যে করোনা প্রতিরোধে চীন নেতৃত্ব দিয়ে এখন করোনা-উত্তর বিশ্বের জন্য সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে চীন। আক্রান্ত বিভিন্ন দেশে সহায়তা পাঠানোর মাধ্যমে নৈতিক-রাজনৈতিক দিক থেকেও দেশটি এগিয়ে যাচ্ছে। যে সময়ে পশ্চিমা বিশ্ব লড়াই করবে করোনার ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য, তখন চীন ও আরও কয়েকটি রাষ্ট্র সারা দুনিয়াকেই জোগান দেবে আবশ্যকীয় নানা দ্রব্য। সেখানে বাংলাদেশের অবস্থানটা ঠিক কোথায় হবে?
আমরা আমাদের প্রবাসীদের অপমান করছি। পোশাকশ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিচ্ছি না। বিপর্যয়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে নতুন কোনো আশা কি তৈরি হচ্ছে আমাদের জন্য? হলে সেটা কোন পথে? নিশ্চয়ই স্বল্পমেয়াদি লাভের আশায় দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থকে বিসর্জন দিয়ে নয়।
করোনা সংক্রমণে অল্প বা মধ্যবয়সীদের মধ্যে মৃত্যুহার কম বলে যাঁরা ভাবছেন, পোশাকশ্রমিকদের ওপর করোনার থাবা তীব্র হবে না, তাঁরা গুরুতর ভ্রান্তির মধ্যে বসবাস করছেন। এই ভাবনা অত্যন্ত অমানবিকও বটে। একে তো যেকোনো বয়সী মানুষ এই সংক্রমণে মারা যেতে পারে, অন্যদিকে, পোশাকশ্রমিকদের পরিবারে শিশু থেকে বৃদ্ধ নানা বয়সী মানুষ আছেন। কর্মক্ষেত্রে একজন পোশাকশ্রমিকের মধ্যে সংক্রমণ হওয়ার মানে তার গোটা পরিবারকেও বিপন্ন করা। করোনা সংকট-উত্তর বিনিয়োগের পরিকল্পনা কি আমাদের আছে? সেখানে এ দেশের পোশাকশিল্পের চেহারাটা কী হবে? পোশাকশ্রমিকের অবস্থানই-বা সেখানে কী হবে?
আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এই কঠিন সময়ে আমাদের দরকার জাতীয় ঐক্য। পোশাকশ্রমিক ও অন্য শ্রমজীবী মানুষদের বাদ দিয়ে সেই ঐক্য হতে পারে না।
জোবাইদা নাসরীন: শিক্ষক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
zobaidanasreen@gmail.com
জয়পুরহাটের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সচেতনতা বাড়াতে নিজেই মাইক ধরলেন ইউএনও

জয়পুরহাটের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সচেতনতা বাড়াতে নিজেই মাইক ধরলেন ইউএনও


জয়পুরহাটের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষদের করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করতে নিজেই মাইক ধরলেন ইউএনও মিল্টন চন্দ্র রায়। সদর উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারগুলোতে লোকসমাগম কমাতে তার এই উদ্যোগ প্রশংশিত হয়েছে।
ইউএনও বলেন, গ্রামাঞ্চলের হাট বাজারগুলোতে এখনো ব্যাপকহারে লোক সমাগম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। লোক সমাগম কমাতে এবং করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য মাইকিং, লিফলেট বিতরণসহ নানা কর্মসূচ পালন করা হচ্ছে।
সিভিল সার্জন ডা. সেলিম মিঞা জানান, ইতোমধ্যে স্থানীয় ভাবে সংগৃহীত ১০ লাখ টাকার পিপিই সামগ্রী ক্রয় করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের সময় নিজেদের কি ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা (পিপিই) গ্রহণ করা দরকার সে বিষয়ে স্থানীয় চিকিৎসক, নার্স ও টেকনিশিয়ানদের রোববার থেকে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে জেলার সকল চিকিৎসক, নার্স ও টেকনিশিয়ানদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
অপরদিকে, হোম কোয়ারেন্টাইন না মানার কারণে ব্রুনাই থেকে আসা সদর উপজেলার ভাদসা ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের সবুজ হোসেনের ৫ হাজার ও দেব্রাইল গ্রামের ওবায়দুলকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মোনাববর হোসেন।
জেলায় মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ১৪৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা রয়েছে। যা গত ২৪ ঘন্টায় ৫০ জন বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান সিভিল সার্জন ডা. সেলিম মিঞা।
সিভিল সার্জন অফিসের কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, জেলার পাঁচ উপজেলায় সোমবার সকাল পর্যন্ত বিদেশ থেকে আসা ১৪৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে একজন রয়েছেন আক্কেলপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ওয়ার্ডে।
এদিকে, হোম কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় এ পর্যন্ত ১৩ জনকে মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় স্থানীয় গরুর হাট, যত্রতত্র থাকা চায়ের দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

Sunday, March 22, 2020

 গ্যাস-বিদ্যুতের বিল এখন দিতে হবে না

গ্যাস-বিদ্যুতের বিল এখন দিতে হবে না

মাসিক গ্যাস ও বিদ্যুতের বিল দিতে ব্যাংকে না যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। ফেব্রুয়ারি থেকে মে—এই চার মাসের গ্যাসের বিল আগামী জুনে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত তিন মাসের বিদ্যুতের বিল মে মাসে জমা দিতে বলা হয়েছে। এ জন্য কোনো বিলম্ব মাশুল বা সার চার্জ দিতে হবে না গ্রাহককে। আজ রোববার মন্ত্রণালয় থেকে এ–সংক্রান্ত একটি চিঠি বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) কাছে পাঠানো হয়।
জ্বালানি বিভাগের উপসচিব আকরামুজ্জামান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, আবাসিক গ্যাস বিল নির্ধারিত সময় জমা দিতে বিপুল পরিমাণ গ্রাহক ব্যাংকে একসঙ্গে গিয়ে জমা হয়। এভাবে অনেক মানুষ একসঙ্গে ব্যাংকে গিয়ে বিল দিতে গেলে করোনাভাইরাস বা ‘কোভিড–১৯’ সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সরকার ‘গ্যাস বিপণন নিয়মাবলি (গৃহস্থালি) ২০১৪’ শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আবাসিক গ্রাহকেরা কোনো রকম বিলম্ব মাশুল বা সার চার্জ ছাড়াই ফেব্রুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসের গ্যাস বিল আগামী জুন মাসের সুবিধাজনক সময় জমা দিতে পারবেন।
অন্যদিকে বিদ্যুৎ বিভাগের চিঠিটি দেন উপসচিব আইরিন পারভিন। চিঠিতে বলা হয়, বিদ্যুতের আবাসিক গ্রাহকেরা বিভিন্ন ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে থাকেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ভয়ে গ্রাহকদের পক্ষে বিল পরিশোধ করা সম্ভব হবে না। ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসের বিল কোনো রকম বিলম্ব মাশুল ছাড়া মে মাসে জমা নেওয়ার জন্য বিইআরসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়।
এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত, নতুন রুটিন এপ্রিলে

এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত, নতুন রুটিন এপ্রিলে


এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত, নতুন রুটিন এপ্রিলে

আরও পড়ুন

যশোর পৌর এলাকায় দোকানপাট বন্ধ ঘোষণাকোয়ারেন্টাইনে পুরো এলাকা, এ কী করল পুলিশ! (ভিডিও)বিমানবন্দর থেকে ৩ যাত্রী হাসপাতালেএপ্রিল থেকে করোনা ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে: খোকন
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। আগামী এপ্রিল মাসের প্রথমদিকে পরীক্ষার নতুন রুটিন জানানো হবে।

রোববার (২২ মার্চ) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক সময় সংবাদকে জানিয়েছিলেন, আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষার সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সারা দেশে প্রশ্নপত্রও পাঠানো হয়ে গেছে। তবে, করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে, পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়া নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যেও বিষয়টি নিয়ে দুঃশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে।

আরো পড়ুন: বাংলাদেশে করোনায় নতুন আক্রান্ত ৩, মোট ২৭

এদিকে, সূচি অনুযায়ী আগামী ১ এপ্রিল এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে শনিবার (২১ মার্চ) এই পরীক্ষার প্রবেশপত্র আগামী ২৮ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় দেশের সব শিক্ষাবোর্ড। এবার পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত এলো।
আজ বিশ্ব পানি দিবস

আজ বিশ্ব পানি দিবস

নাসিম আহমেদ , জয়পুরহাট প্রতিনিধি 

আজ ২২ মার্চ, বিশ্ব পানি দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘পানি ও জলবায়ু পরিবর্তন’। বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের গৃহীত এক প্রস্তাব অনুযায়ী প্রতিবছর ২২ মার্চ বিশ্ব পানি দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিও’তে এই প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। সেখানে পানি সম্পদের জন্য একটি বিশেষ দিন ঘোষণার দাবি তোলা হয়।
১৯৯৩ সালে প্রথম বিশ্ব পানি দিবস পালিত হয় এবং তার পর থেকে এই দিবস পালনের গুরুত্ব ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে।

Saturday, March 21, 2020

এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে সোমবার

এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে সোমবার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  •  

    এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে সোমবার - ছবি : সংগৃহীত
    আগামী পহেলা এপ্রিল থেকে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও করোনার কারণে তা স্থগিত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দেশের সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান সভা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রোববার অথবা সোমবার পরীক্ষা পেছানের প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর কথা রয়েছে। এর পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পরীক্ষা পেছানোর ঘোষণা দেবে। আগামী সোমবার পরীক্ষা পেছানোর ঘোষণ আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।


    শনিবার দুপুরের পর থেকেই পরীক্ষা পেছানোর একটি গুজব সারাদেশেই ছড়িয়ে পড়েছে। তবে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান নয়া দিগন্তকে জানিয়েছেন পরীক্ষা পেছানোর ঘোষণা এখনো দেয়া হয়নি। এই ঘোষণা দেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। দু’একদিন পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি সভা হবে। সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে পরীক্ষা পেছানোর ঘোষণা দেয়া হবে পারে।

    অবশ্য আন্ত:জেলা বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, চলমান করোনাভাইরাসের সংক্রামণ থেকে শিক্ষার্থীদের নিরাপদে রাখতে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময়ে শিক্ষার্থীদের নিজ বাসায় অবস্থান করতে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এমন পরিস্থিতিতে এ পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দেশের সব শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান সভা করে এই সিদ্ধান্ত নেন।
    জানা গেছে, ‘শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানদের সভায় পরীক্ষা পেছানের প্রস্তাব রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো কথা বলা হয়। ইতোমধ্যে এইচএসসি পরীক্ষার আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকও স্থগিত হয়েছে। এইচএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র চলমান বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত করেছে সব শিক্ষা বোর্ড।
    এ বিষয়ে আন্ত:শিক্ষাবোর্ড ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ১ এপ্রিল এইচএসসি পরীক্ষা আয়োজন করাটা কঠিন বিষয় হয়ে পড়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে সব শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান বসে সভা করেছি। সেখানে পরীক্ষা পেছানের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে এ প্রস্তাব আগামী দুই-একদিনের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
    কতদিন পরীক্ষা পেছানো হবে সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। কতদিন এমন সংকট থাকবে সেটিও নিশ্চিত নয়। তাই স্থগিত করার প্রস্তাব করা হতে পারে। পরবর্তীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটি বাস্তবায়ন করা হবে।
    তবে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, করোনাভাইরাসের জন্য এইচএসসি পরীক্ষা ১ এপ্রিল শুরু না করে এটি ঈদুল ফিতরের পর আয়োজন করার প্রস্তাব দেয়া হতে পারে। এরপর সুবিধামতো সময়ে এ পরীক্ষা আয়োজন করা যেতে পারে। তবে শিক্ষার্থীরা যাতে সেশনজটে না পড়ে, সেটি মাথায় রেখে এইচএসসি পরীক্ষার সংশোধিত সময়সূচি প্রকাশ করা হবে।
    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছাপিয়ে তা কেন্দ্রে পৌঁছানো ও কেন্দ্র প্রস্তুতসহ সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা শেষ করা পর্যন্ত পুরো প্র্রক্রিয়ার সাথে কয়েক লাখ কর্মকর্তা, শিক্ষক জড়িত। তার সাথে সারাদেশে ১১ লাখের বেশি পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় বসার কথা রয়েছে। পরীক্ষার আয়োজন নিয়ে কর্মকর্তা-শিক্ষকদের সভা করতে সমবেত হতে হয়। এতে করে একে অপরের সংস্পর্শে এসে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরীক্ষা স্থগিত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। দু’একদিন পরে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হতে পারে।
    করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ইতোমধ্যে দেশের সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে কোচিং সেন্টারগুলোও। একাধিক অভিভাবক বলেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থা স্কুল-কলেজের পাশাপাশি কোচিং ও প্রাইভেট নির্ভর। সহপাঠীদের সাথেও শেয়ারিং করে পড়াশোনা করে। সরকার শিক্ষার্থীদের বাসায় থাকতে বলেছে। এখন তারা কীভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যাবে।
    সূত্র জানিয়েছে, পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও কর্মকর্তারাও আতঙ্কে আছেন। সরকার সভা-সমাবেশ এড়িয়ে চলার সতর্কতা জারি করায় এইচএসসি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করতে গত সোমবার ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের অধীন সব পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিবের সভা ডাকা হলেও তা স্থগিত করা হয়।

    উল্লেখ্য, আগামী ১ এপ্রিল বাংলা (অবশ্যিক) প্রথমপত্র দিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। ৪ মে পর্যন্ত তত্বীয় পরীক্ষা আয়োজন হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর ৫ মে ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হয়ে ১৩ মে পর্যন্ত চলার কথা আছে।